(পুরাণ কাব্য)

শত্রীফণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়

গ্রণীত।

কলিকাতা আশ্বিন সন ১৩৩২ সাল

মূল্য ॥* আনা

্রিষ্টার__ ভ্ীফীকরনাথ মুখোপাধ্যায় কামিনী প্রেম ৫২এ, হরিঘোষ কীট, _. কনিকাতা

প্রকাশক -- ব্যানাঙ্জি এও কোং ২৭ নং কর্ণগয়ালিস্‌ ইট,

শু ৩লগা

পূজ্যপাদ সর্ণয় দীননাথ দেবশর্থার পুণ্য স্থৃতির উদ্তেশে।

স্বাদামহাশয় !

আপনার স্বেহের চার! গাছগুলিকে মুকুলিত হুপ্তে অবঙ্গর দিবার পূর্বেই আপনি মহাযাত্রা করেছেন। 'যাহা হউক আব আমার অতি যত্বের “কাল-পরাজয়* কাব্য প্রন্থুনটা আপনারই চরণোদ্তেশে অঞ্জলি দিলাম $ আশা করি আপনি স্বর্গ হ*তেই এটির সৌরতের বিচার ক'রবেন।

ইতি ২2শে শ্রাবণ অপনার জন ১৩৩২ সাল। সেছের-. কজিকাভা। হী ?

এপ

| | ]

বন্দনা

কাল-নন্ধ্া সমাগমে, নিবিড় গহনে, ত্যবান নরবর সত্যের আকর জাদি কাঠ আহরণে, পড়িল! তৃতলে ছিন্নপুষ্প-কলি প্রায় মূচ্ছাগত হয়ে কালের কবলে বে, কীদিলা সাবিত্রী গহনে গগন ভেদি গকরুণ রোলে সতী অশ্র বরিষণে তিতিয়া মেদিনী ;-- ঘবে কাল পরাক্গয় মানিলা৷ আপনি গড়ি পতিব্রতা সতী-তেজের প্রভাবে তাহার বারতা আজি কহিতে প্রয়াস কবিতার সুধাধারে। যে সুধা খরায়ে তোমার প্রগাদে কৰি শ্রীষধন্থন লভিতে সফল ভবে চিত অরতা ) ছেন আশ নাহি মোর। তাই গো জননি, বঙগমাতা-বাণি, দীন হীন দাম আজি তোমার শ্মরণাগত! লভিব বলিয়া চির সাধনার ধন, টীর-বামাধল

কাল-পরাজয় গাতিয়৷ বসেছি শুধু তোমারি দুয়ারে, পথের কাঙ্গাল বলি ঠেল না হেলায়! আছয়ে সঞ্চিত জানি তব ধনাগারে কুবের-বাঞ্ছিত ধন; পুরাও জননি ভিক্ষা-পাত্র মোর কণামাত্্র দানে তার! কাদালে তনয়ে মা গো তুমি যে কীদিবে! কাবা-কুঞ্জ মাঝে ভ্রমি, বড় সাধ মনে, মনমত ভাষা-পুষ্প করিয়া চয়ন, ঝঞ্জলি দিব গো মাতঃ চরণে তোমার কিন্তু মাত; কবি-কুল"মালি-দলে মিলি, না বুঝি না চিনিঙ্ ুমনঃ-পাদপে ) শুন্য সাজি লয়ে শুধু ভ্রমিব প্রান্তরে, বদি না চিনাও তুমি অবোধ সন্তানে। অপার করুণা তব ইতিবৃতবে শুনি ।-- কবি-গুরু কালিদাস নধুক্-সরে ফুটালে সরোজ্ শুভ্র তুমি সরোজিনী, বদিলে আপনি! কিন্তু কোন গুণ আছে” অতি ভাগ্যহীন আমি, অমর প্রসাদ ছেন বাচি তব পদে! তবে যদি থাকে, অভাগা তনয় বলি অধিক করণ

কাল-পরাজয়

তব কিন্করে, ভ্রাণে চিনি লব ফুল, মধু-বসন্তে মোর। বিদ্রপ করিয়! যদি হাসে বিশ্ব হেরি, পঞ্গুর হয়েছে সাধ গিরি উল্লঙ্ঘনে, তুমি মা হেদ না! সতত ঠেকায়ে রেখ পতনে উখানে। ফুটিলে প্রসাদে তব ভাবের নয়ন,-_ থে প্রন চয়নিব কানন ত্রমিয়া, অর্থ্যদান করিবারে তোমার চরণে. আদে যদি কাল-কীট ভুক্জবারে তার মকরঙ্-নুধা, কতু কুরব গাহিয়া কুরবে গুপ্তরে যদি, শিলীমুখ-কুল যেন ভূলে নাহি রয় সে সুধা পিয়াসা। (অন্ধ বর্দি নুহি হেরে প্রকৃতির রূপ, শ্লান রবে কেন সতী সবার নয়নে? উধার অধরে ভর! ললিত হাসিটা, বালার্কের পানে চেয়ে নল্লিনী পোহাগ - অঙলদ নয়নে যদি নাহি লয় স্থান, জাগ্রত নয়নগুলি তুলে থাকে না!) ঘদি দয়া করি তুমি উর মোর ঘরে, সাজাও আপন পদ প্রভাত সঞ্চিত

কাল-পরাজয়

এই পুষ্গ উপহারে. (অধমের দান ), তবে ধস্ত অধষ পদ বরণে। আশীষ-বচনে মা! গো বলে দাও তবে, হুধার মুধারা থরে এড়ায়ে অধর, কি ভাষে বর্িবে দাস বীরাঙ্গনা-কীন্তি নরলোক মাঝে আজি সবারে ঘেষিয়া।

ক্ষাস-ঞল্পাতন্ল সি

দেখিতে দেখিতে ধীরে আইলা ঘনায়ে কাল দ্বরূপিণী নিশা সে ধন গহনে, নিবিড় তমমা বেশে) সধন গম্ভীর নাদে তীম গরজনে শাদায়ে কাহারে যেন ক্ষু তিরস্কারে,_বন্ত পণ্ড যত ছাড়িল্লা হুঙ্কার সবে? শিহরি ষেদিনী কাপিল! সভয়ে যেন দ্রুত পদ-ভরে। সজনীরে পরাজিতা। হেরি, বীর দস্তে ধ্বনিল! যামিনী, দিকে দিগস্ত ভেদিয়া,- ঘন সিংহ-নাচদ ; শাল তাল বৃক্ষ-তালে 'বিজয়-হু্দুতি যেন বাজায়ে পবন সবারে ঘোষিয়। ফিরে। শৃন্ত ভেদী শির ঈ্রাড়াল বিটগী যেন প্রেতৈর প্রমাণ ডাঁকিল শিযপরে বসি কুরবে পেচক, অণ্ডভে আহ্বান করি। কিন্তু যত আহা পুম্পিত। ফলিতা। লতা স্বভাব কোমলা,

কান্স-পরাজয়,

অমঙ্গল ধ্বনি শুনি মর্রে ব্লাপে; ডরে কভু অন্ুভবি পবন প্রতাপ উঠে চমকিয়া; কতু লাজে ছুঃখে তারা আনন নোয়ায়। আহা নেহারি ৰকরতে প্রকৃতির ভাব হেন রহস্ত পুরিত শন হতে উঁকি দেয় জ্যোতিফ-মওল, “তার আড়াল দিয়ে। সে নিশে শারদ! যোহিনী মূরতী কমু উঠিল ন1 ধেয়ে রহস্য ভেদিতে, গ্রাসে পাছে নিশাচর, ক্রোধাবিষ্ট হয়ে তার! ক্ষুধার তাড়নে।

নিশার তিমির-ভার ধরিল কাস্তার ভীষণ মূরতি এক ভর়প্রদ অতি। গম্‌ গম, খম্‌ খম্‌ করিছে ধরণী; শূন্ত জন-ক্লপরব তথ৷ ; ন্লাহুলি করে গুধু বনচর যত, কাল-সম শফ্ন-কিন্কর। চকিতে চমক ভাঙ্গি, প্রকৃতির কলরব, ভেদিল নিনাদি সকরুপ বাষ। মুরলী নিন্দিয়া। শুনিয়া সে রব আহা ক্ষণেকের ভরে নীরধিল নিশাচর ইন্দর্জালে যেন।

|

কাল-পরাজয়

্তত্তিত গ্রকৃতি সতী কুহুক জড়িতা,_ অচল অচল প্রায় ছড়াল থমকি। মর্মরিলা পাতা লত! বিলাপ উদ্ধীসে। বনপথে ছাছতীস করিয়া! ছুটিলা উত্তর প্রদেশ পানে, উতল মার্ত-- বর্ণিবারে আজিকার কালেয় কাহিনী। শোক সম্বরিয়া বাধ! নীরবিলা ক্ষণে, বাঁধিয়ে হৃদয় যেন দৃঢ় কর্মপাঁশে। কিন্তু সতী নাহি দৌষে বিধির লিখন, রোষে দুঃখে, কর্মফল জানি বলবান।

একাকিনী বদি বাম! সাবিত্রী নুরী, 'জধার রজনী-তলে বিজন বিপিনে,- হ্থখতারা খনি যেন নুটায় ধূলায়। ুমরু পতি শির রক্ষি নিজ ক্রোড়ে, হিল! তাকাযে মী ভূষিত ননে_, কালবেলা আত্বাদিত আননে তাহার, কুমুদিনী যেন আহা শঁশধর গানে। অপাজ্জে বিযাদ-নীর কীপিয়া ঈাড়ায়- শিশিরের বিদদু যেন ঢুলয়ে সমীরে। “করুণ স্থির দৃষ্টি পলক বিহীলা,

টাল-পরার

বীরাঙ্গনা-বিভূষণ] সতী-হিয়া-মাঝে ভরবা-প্রবাহ এক উঠিল উথলি। নেত্র-ফাট বাহিরয়ে আশা অশ্রধারে। হেষত্তে শারদা-নুধা হৈম কপ ধরি গড়িল খসিয়া যেন ধরণীর পর-_ সতীর নয়ন-বারি স্বামীর ললাটে। নিবিড় তমসা ভেদি ক্ষীণ দরশন ভুলিল পশিতে দেই বারিবিদু মাঝে) ললাটে সে নীর তাই মিলাঁল ললাটে।, ভবিষ্যৎ নিরখিয়৷ পতির আননে, ঘোর চিন্তাভূতা সতী উড়িলা নির্ভয়ে মহিমা-মঙয় ভরে, অনন্তের মাঝে স্বাপদে ভীষণ ঘোর গরজন নাহি, পশে সেই চিন্তাধীর বধির শ্রবণে। গাদপের পাদমূলে সে ঘোর বিপিনে, পত়ি-শির-কোলে সতী নির্ভিক হৃদয়ে হরিতেছে কাঁল,_নীগ-কুল যুঝে বা প্রতিকূল শ্রোতে মাংস-দুক আহা খ্বাপদ-সন্কুল চাহে উদাস নয়নে; কত বা ফিরিলা ধীয়ে, সভয়ে সকলে:

কাজ-পরাহ

নীরব ভাষায় ঘোষি বিপদ বারডা, গ্রম্পর কানে ফেন; এত হ্রেরি যেন, নিকঝবিলি বি ঝি রবে মহীয়হ-রাজি শান্তির শ্তবনে করে অভয় প্রদান ধৈরয ধরিয়া আহা অশ্রান্ত রানা। ছেন মহাবেশে সতী সাবিত্রী নুরী প্রবেশে কোথায় যেন মানসে সহসা দিব্যললীক মাঝে এক,-অন্ মৃতযু-্জান যথা! নাহি ভেদাভেদ। ন্বরগে স্বেচ্ছায় ধেয়ে বিচরিলা সতী যথায় তথায়” বিমানে সলিলে কডু। অগম্য অন্তর গথ আর নাহি রয়, সাবিত্রীর কাছে।

জ্যোতি্য়ী সম দূরশ-গ্রতাবে দেবী দেখিলেন আাশে পাশে বিকট মূরতি শত গ্রেত-ছায়া, লক্ষ ঝন্ নৃত্য করি মবেকরে দলাদলি। আকর্ণ দশন- গাতি বিশাল-বদন; নয়নে কটাঙ্ষ- পাড অগ্নিককুও সঙ্গ উঠিছে জলিয়া) কেপ-গুচছ শিরে যেন রহেছে দায়ে উদ মুখ করি) গাজর কেশে পৃথকতা।

কাল-পরাজয়

নাহছিক বরণে হেন ঘোর কুষ্কবর্ণ মূরতি সকল মুহূর্তের পরে ধীরে হুইল! বিলীন, ভয় প্রদর্শিয়। ; কিন্ত সতী নাহি ভরে তায় তিলেকের তরে, দিব্যলোক মাঝে থাকি। স্থীরা ধীর] বাম! গম্ভীর! মূরতী ধরে দৃশ্য প্রলয়ের।

সহসা! সে নীরবতা, ঘন তমঃ ভেদি ভাতিল উজল এক মহীয়সী প্রভা, ঝলসি কানন যেন করজালে তার। পলকের মাঝে তথা হুইলা উদয় দিব্যকায় মহাজন, বিশাল মৃরতি এক/_দাড়াইলা! তথা আসি ষহাকাল। কাপিল। ধরণী যেন প্রলয় সভয়ে,_ ভূমিকম্পে নড়ি গিরি উত্বাপ্ি অনল। বিশাল বিস্তৃত ঠাট সুদীর্ঘ বিগ্রহ উজ্জ্বল দুন্দর ; কিবা প্রশত্ত ললাট $ ক্রযুগল শোভে তায় ইন্দ্র“চাপ সম, (কিং! ক্ষুদ্র মেঘ-মাল! শারদ-প্রদোষে ।) আকর্ণ শোভিত ছুটি আয়ত নয়ন; অধ্য-মণি তারা ছ'টি ভামে তায় যেন

১৬

কালশ্পরাজয়

বার্ড সমান আহা মুনীল গগনে। ক্ষণেকের তরে পাতে কার সাধ্য হেন অয়নে নয়ন। থগরাজ-বিমিন্দিত নাসিক। গঠন? ইন্তর-বজ্জ জিনি বাহু আজান লম্বিত) তার নখরে নখরে, গ্রকাশিছে তেজাপুঞ্জ দামিনী-আকার। কাকপক্ষ কেশ শিরে গড়িছে চলিয়া বন্ধ পরে। বিম্তিত বিতৃষিত আহা হিরকরতনে, কিবা! মুকুতা খচিত সুকুট ভূষণ তার শোভে শিরোপরে। ললাটে দিনুর রেখা দ্বিগুণ বাড়ায় জ্যোতিঃ, যেন মুনিগণ দেছেন আহ্‌্তি সাগরের কুলে বসি দিবা অবসানে_ (কিংবা! আস্ত দিবাকর গোধূলি-ললাটে ) পাশ-গ্ড শোভে করে ভীষণ আকার। ' হেনরূপ ধরি তথা হইলা উদয় ধর্মরাজ, উদ্ভাসিত করিয়া গহন। “অপূর্ব মৃরতি হেরি, ভয়গ্রদ অতি, চমকিল চয়াচর সভয়ে শিহরি,- চম্নকিল! সতী) আহা নঙ্গনে তথাপি

১১

কাল-পরাজয়

স্থিরযৃষ্টি স্ুকোমল পতি-মুখ পানে। হেরি নর-দম্পতিরে হেন মহাবেশে কার নাহি গলিবে রে হিয়ে? তাই আর্জি কঠোর করম-ভারে পাষাগ হায় উঠিল বিলাপি নিজে ধর্মারাজ কাল, পাশরি কঠোর ব্রত। ধ্বনিয়।৷ উঠিল তথা মহা কোলাহল সভয়ে শ্বাপদে। ছুটাছুটি হুটাহাটি পড়ি গেল ত্রাসে; গহ্বরে কন্দরে ছুটে কেহ বা! প্রান্তরে, ঘোধি সবে পরম্পরে বিপদ বারতা, মহা কলরবে। কিন্তু নিশা অবসান ভাবি কুহরিল শাখে বিহগ নিচয়। চেতন! লভিয়া ধর্ম কছে বধুদ্বরে; সম্ভাধি সভীরে আহা! অতি «সমাদয়ে”-* “অনুপম হেরি তব ওর়প-মাধুরী, জোছনা-চিকন কাস্তা, পূর্ণ মেহাধার, পতিব্রতা, পবিষ্ঞতা, প্রেমের পাখার! লো জুন্দরি! নিজে আজি হের লো শষন ছয়ারে তোমার ) লাজে মরি বাখানিতে কঠোর কামনা ।” এত বথ! বুঝি হায় রি

কাল-পরাজয় লারিল পশিতে সেথা সাবিত্রী-শ্রবণে। ক্ষণেকের পরে ষবে ভাঙ্গিল ব্বপন, তাকাইল। ধীরে সতী শমন-বয়ানে, নেহার্িলা সৌম্যমুন্তি অংদৃষ্টি লাজে'_ 'সৌদামিনী হেরি যথা ম্লান দিবাকর কহিল! কাতরে সতী সম্ভাষি শমনে সুমধুর ভাবে, আহা বীণার বঙ্কার যেন শ্রুতি আমোদিল,--”কহ গো অতিথি! কিবা হেতু আগমন দীনা সকাশে? চাহ যদি পতি মোর, অতিথি সেবায় হতেছে সংশয় তায়, পারি কিবা হারি। সতীরে বঞ্চিয়া তার সার পতি ধনে পড়িবে কালিমা তব শ্রেয় ধর্ম নামে ।” সরঙে রৌধিল ক; আনত আননে, নির্বাক রহিল! ক্ষণে ফীড়ায়ে শমন। করিলা মিনতি য্‌ করি যোড় কর, “অতি সত্য জানি সতি, তব অনুষান। দূত মোর মানি পরাজয়, আসিয়াছে নিজে ধর্ম ব্রত তার করিতে “সাধন করি লো মিনতি, তাই কহিতে সরম,

১৩

ছাঁড়ি দেহ পত়ি-দেহ কালের করে। জানিও নিশ্যম আজি ধরম আমার নিধন-ক্রম-ত্রত। ধরমে প্রমাদ কভু ঘটায়ো৷ না সতি! সুশান্ত মূরতি হেরি সাধ হয় মনে, চিরায় সধব। তোমা রাখি মরতে, সতীকুল মাঝে কিন্ত মোর সাধ হায় বিফল সকলি, আমিও করমে বীধা সে রাজ-ছুয়ারে। তোমার করুণা যাচি তাই উভরায়, টুটিতে বাসনা মোর পদ্মের পল্পব,-_ প্রয়োজন মানিয়াছে আপনি বিধাতা ধরম করমে যি ঘটে পরমাদ বর্ ন্ভ্য ছুই লোক যাবে .রসাতলে ; স্বার্থ হেতু ঘটারো না হেন বিভ্রাট ! না হর সময় সতি! বাড়িবে জঞ্জাল; দেহ ছাড়ি রুপ! করি তব পতি-দেহ; লয়ে যাই সেই স্থানে, যেথা ভগবান রচেছেন মনোষত স্ুরম্য প্রাসাদ প্রাসাদের প্রতি চুড়ে উড়িবে পতাকা ; “জয় সত্যরাম্” তথা রছিবে খচিত

১১

কাল-পরার

অক্ষর আকারে ) বহু দাস দাদী তথা নিয়োজিবে দিবানিশি পদ সেবে তীর। গাথি লয়ে পারিজাত মন্দার়ের মালা, আসিবে সজনী সেথ৷ লয়ে ডাল! ভরি? নিত্য আমি সেবি কত দিবে উপাদান। সন্ধ্যা কত তারা-ফুল করি বরিষণ, পুজিবে সতত লাজে তামসী ভেদিয়া; মাখি লয়ে নিত্য নব কুন্ম*মৌরত, ভূতা ভাবে যোড় করে বিলাবে আলিয়ে আপনি পবন তথা দেবের আদেশে -ধরি করে সত্যদেব আপনি তথায় স্ুরচিত সিংহাসনে দিবেন বসায়ে, অতি সমাদরে তারে। আজি নিশীথে প্পবিতিবে পতি তব ভ্রিদিব-আলয়। রছেছে দীড়ায়ে আহ! স্বরগ দুয়ারে, যত সুরবালাদল কাতারে কাতারে, গাথি লয়ে রাশি রাশি ফুল-মালা করে, দেবপদে আজি তারে লইতে বরিয়া। নিত্য নব বেশত্যা আদি অঙগরাগে নর্তকী দল আদি গাহিবে নাচিবে-”

১৫

কাজ-পরাজয় অপূর্ব রাগি নী, মরি মধুর রপনে১- উদ্ভামিত করি কত মেখাকে ভবন। গ্রভাতে গ্রদোষে বমি পিক-দারাদল তুলিবে গঞ্চমে তান বিটপী বিটপে। সব নিনীদ বহি ভ্রুতিপথে তারঃ ভ্রমিবে পবন, যেথা যা৷ পায় কুড়ায়ে। গতি তব বিরাজিবে সব মাঝারে, মনের হরিষে কত। সতী স্বাধবী তুমি, গতির সখের বাধ! সাজে না তোমার! তাজ তবে গতি-দেহ কাল-পদনে ; অতি সমাদরে তারে লয়ে যাই তথা, যেথা রহেছেন দেবরাজ ইন্ত্র মহামতি। বিধির নিয়মে সতিঃ হইবে সময় তোমারেও লয়ে যাব মে হুখ আহামে; কহি্ধ তোমারে সত্য,-সাগেক্ষ সময়। এত কহি নীরবিল! গ্রবোধি বামায় ধর্মরাজ, নিজ ব্রত করিতে সাধন। এঠেক বচন শুনি স্থধা-ররিষণে, গাশরিলা। নিজ পণ সাবিত্রী হুনী কুছকে মজিয়া। ছাড়িয়া গতির পির, ১৬

কাস-পরাজা

“হীড়াইল! ক্ষণে বাম করি যোড় পাঁণিঃ স্থধাইলা পরে ধীরে মধুর বচনে”- বীণা কণ্ঠে যেন, “কহ হে রাজম্‌, মোরে কহ সত্য করি, থাকিবে কি স্বামী মোর স্বরগ 'আবাসে সুখে? দাস দাসী বত করিবে কি নিত্য আসি পদ সেবা তার? কিন্তু মোর নেবা বিনা হায় কিবা নাথ “হবেন তথায় তুষ্ট? রাখ রাখ দেব সতীর মিনতি, চল মোরে লয়ে সাথে; আমিও সেবিব তীয় দাসী-দলে মিলি।”

এতক্ষণে ধর্মরাজ মিলিল! সময় ; পলকে লইলা হরি প্রাণ-পতি-প্রাণ পাশীবন্ধ করে; কহিল! অমিয় ভাষে,-- প্যাও সতি! যাও তব গৃহে ফিরি এবে ; 'পাল গিয়া সতী-ধর্ম॥ পতি তব আজি “দেবরাজ সহবাসে চলিল শ্বরগে।” এত কথা কহি যম উড়িলা নিমেষে, -শৃন্ত পথে বায়ু*রথে মেঘলোক ডেদি। আপন দুয়ারে লয়ে। *

আইল নিয়া

১৭

রঃ অন্ধকার, বাদ করি বিন্‌ খি্‌

: উঠিল হাসিয়া) ছুহ-রব করি তথা, যেন কত শোক ভরে বহিল পবন? কুরবে পেচক পুনঃ উঠিল ডাকিয়া। এতক্ষণ উর্ঘি নেত্রে। আছিলা নিরখি শন গমন সতী হতাস নয়নে। কিন্তু যবে মিলাইলা! দরশ বাহিরে, পড়িলা৷ আছাড়ি দেবী শব-দেহ পাশে). প্হায়, হায়!” উচ্চারিলা৷ আভাহীন মুখে জড়িতৃত যেন সব সে রব শুনিয়া। হিয়ার নিভৃত কোলে, নীরব ভাষায়, কলি কী্দিল যেন, “হায়, হায় 1” করি। বাড়াই গম্ভীরতা, মরমে মরিয়া, কাদিলা পাদপ-রাজি বিষাদি বিষাদে, সোহাগিনী সাথে যেন কীদিলা ভাবুক, কল্পনে অশকিয়া ছবি বিরলে থাকিয়া,_. শক্তিগেল সম বিদ্ধ বিরহ বেদনে,

অবলা যুবতী সাঁথে। হায় আমি নিশে,. কি.পাপে পাপিনী হয়ে, হইল! বঞ্চিতা সতী পড়িঘনে। কি হেতু অধর্ম করি,

১৮

কা-পরাজযু

ইলা হরিয়ে আজি আপনি ধরম সতীর মুকুট! কেন বা মজিলা, দতী বজ্ত!বিস্তাসে! কেন মন্ুখে তাহার, ত্যজিলা মে পতি-জঙগ প্রভাব তূলিয়া! এই কি হে ধর্ণরাজ ধরম তোমার, কষিত কাঞ্চন গড়ি ধূলায় লুটায়। এত কি হে সহে প্রাণে!

কত কীদি আহ পড়িলা লুটিয়া সতী পি-নেহ-পরে। আপন অঞ্চল তুলি, মুছাইয়া দিলা পতির বান, কৃত ভাবে ধীয়ে ধীরে নিরখিয়া আভাহীন নয়ন যুগল, শোক-বীচি হি-তটে পড়িল আঘাতি। ,একাকিনী ধসি সতী কুটিল কাস্তারে, কত য়ে কীদিলা আহা, কি কব কাহারে )-- স্সাজি কোন ভাষে! আধিনীর ঝরে ফেন-- হিমাচল হৈ চূড়া খলিয়া ধলিয়া,. ফ্যঘিতা ধরদী পরে গড়ে রাগি রাশি, তপ্ত অঞ্জ বলমিল বারে বারে বনি। শিশির আসারে শিক্ত শ্যামল হনয়

১৯

কাজ-পরা।

পৃথিবী না গারি তাই মে শোক সহিতে, চাহিলা গলাতে যেন বারিধি অগুমে,_ সমগ্র জন বক্ষে জুড়াতে সে জালা কর্তব্যের ভয়ে শুধু নীরবিল' দেবী। নীরবিলা চরাচির যত, ক্ষণ গরে। গ্রাচীর ছুয়ার হতে এত পরে শী, তুলি পির, উ“কি দেয়,স্আধ লাজে কাটা) (কিংবা ভ্রাসে লুক্কায়িত শির-আভরণে।) হেরি সতী-অন-রাগ ধুলায় ধৃমর, কু হাসে মূ হামি রম পরিহাসে। অপূর্ব স্বরূপ তবু উঠিছে ফুটিয়া- প্রভাত অরুণ যেন কুহেলি আবৃত। উদাদ নয়নে চাহি, বন্ত পপ্ত যত রহিল দীড়ায়ে। হিংাবৃত্তি যেন তারা তুলেছে সকলে। হায়, না জানে রোদন তারা মানবের গ্রায়। নহে উচ্চ রোলে কীধিয়া! ফাটাত বন আজি সতী-শোকে। _ বিরহিনী নাহি তথা, তোলে কুলুভান। কাদে শুধু লতা পাতা ঝিল্লির নিনাদে, মতী সাথেবুঝি রসালেরে গ্মরি উন

ঙঃ

কাল-পরাজয়

বারা

আঙ্ছিনের ঝড়ে” (তবু রহে আকড়িয়া পতি-দেহ সতী, শুধু যুঝিবারে যেন শমন সহিতে সেথা লতাকুলরাণী )

এতেক না৷ হেরি বাম! কীদিতে লাগিল! ; কতই চিস্তিলআা মনে,_“কি করি উপায়, কার কাছে যাব নাথ! কে দেখাবে পথ, কোথা বা আশ্রয় মোর, আরাধা দেবতা! তুষি যে ভবন মোর, ভুবনে আশ্রর! তোমা হারা হয়ে তবে দাসীর আশ্রয় কেমনে সম্ভবে ? দাও দেব, দাও গুরু, দাও স্বামী? দাও প্রাণ, দাও উপদেশ ! উপদেশে মুক্ত-কঠ সদাই তোষার, তবে কেন তাকাইয়ে বিদবেশীর প্রায়! কহ কথা একবার স্ুধা-বদনে ; একবার, একবার, জুড়াই শ্রবণ! শরতে শারদ! হাসি নিত্য নব যাঁর খেলিভ অধরে ফিরে; মন প্রাণ মোর, নাচাইত এক করে মিলায়ে বিলায়ে, তালে তালে তার, _-হখ। শন্ট সজবীরে নাচায় আপন ভোলা, নিত্ৃতের কোলে।

১.

“কেমনে সে হাসি আজি ভুলিলে হে নাথ, অবল! কীদাতে? কহু নাথ, এবে তব আভাহীন শশিমুখে কেমনে তাকাব? স্থনীল সরসী মাঝে ফুন্পু কোকনদ, মলয়ে সোহাগ ভরে ছুলিয়ে দুলিয়ে, আপন! পাঁশরে থা, বিভোর প্রেমিক ;-- সেইরূপ হিয়া মাঝে লুকায়ে ছুলিছে, হাদি হাসি মুখ খানি ; কিন্তু আজি হায়, কদলি পাদপ সম কাল বাতে শায়ি, জ্ঞান হীন স্বামী। উঠ ধীর! উঠ প্রাণ-বল ! তোম! সম প্রেমিকের কু সান্জে কি বেশ? তবে যদি বিধিহায়, লিখেছিল! ভালে মোর বিরহ তোমার, কহ তবে, কোন দোষে,০ত্যজিলা অকালে, শ্রেহময় ন্রেহময়ী জনক জননী 1-- যাদের শ্রেহের বশে, ছুরস্ত কাননে

পশি কাষ্ঠ আহরণে, সহিছ. সকল, আজি কাল নিশা-ক্রোড়ে। কেমনে ভুলিব, ঘুষলীর তান সম মধুর প্রলাপ! জ্তিতবনি সম যে বান্ছিবে শ্রবণ.

১৬

কাল-পরাধর

তৃষায় জবায়ে হিয়া হার, শেল সম, চিরদিন বিধিবে যে পরাণ পরশি ; হৃৎপিও ছিড়ি হার, খণ্ড খণ্ড করি, উপাড়ি ফেলিবে ঝড়ে, বিরহ-পবন ; দ্ৃশ্চিক-দংশন সম দনশিবে কভু এত ব্যথ1 সবে প্রাণে, কেমনে বিশ্বাসি! যাই তবে, তব সাথে ত্রিদিব কানন; সেথায় সেবিব নাথ চরণ ছু'থানি। কেমনে ত্যজিব আমি তোমা পরবাসে, একেলা! শ্বরগ পথে শমন সহিতে ?" এত কহি, জানাইলা! আপন বারতা সতী পবনের মুখে। ছুটিল পবন, 'অনস্তে বিয়া ত্বরা' এতেক কাহিনী অপুর্ধধ প্রতিভা পুনঃ উঠিল ঝলসি, অচলা অটল! বামা, সুদৃঢ় কাষনা, বন্ধ পরিকরে যবে উঠিল! ঈীড়ায়ে। কার সাধ্য ভাঙ্গিবারে পতিব্রতা-পথ চমকিলা ধর্মরাজ; নড়িল শ্বরগে '্ষণ্টা অহঙ্গল নাদে, অত্যুচ্চ নিকনে 7 লিল সুকুট হায় দেবরাজ. শিরে?

হঙ

কাল-ারাঙয়

সারাটা

এ্রমাদ গণিল! বন্ধ! কটিনী পাতিয়া। জশনি*গমন! দেবী, অতি পতিব্রতা,.

আদর্শ রনী সতী, হিন্দু-কুলরাণী

পলকের পরে যেন শষন পশ্চাতে, .

উড়িল! বিমানে ধেয়ে উচ্চ শির যত

শাল তাল বৃক্ষ-রাজি নোয়ায়ে শরীর,

সমগ্রমে সবে, তার! ছাড়ি দিল পথ)

ঝটিতি আইলা ধেয়ে ঝটিকা বহিয়া,

ঘন ঘন স্বাদ তাজি, অতি শ্রাস্ত হয়ে,

অসীঙ্ উদ্ভেশে,-ফেন হায়, ছায়” করি,,

ছুটে চলে জানাবারে বিপদ বারতা।

হীন গ্রভা তারাগুলি নীলিমে থাঁকয়া,

রহিল! তাকায়ে যেন বিশ্মিত নয়নে।

এই রূপে অঘটন ঘটায়ে স্রুলি_

পর্বত শিখর, কত বন উপবন

লঙ্বিয়া ঢলিলা সতী কোন্‌ মহাদেশে

পশ্চাতে পড়িল যারা, স্তত্তিত সকল।

অমঙ্গল ঘণ্টা শুনি, স্বরগ গমনে,

শহমের মন কডু স্থির নাহি রয়।

যাস অঙ্গ, বাম চক নাচিল সহসা।

২৪

কাল-পরাজিয়

এত দেখি। এত গুনি, বুঝিল শমন, ঘটে বুঝি পরমাদ দৈবেরে লঙ্ঞিয়। ) ধরম করম বুঝি বায় রসাতলে।

খণ্ডিল বুঝি বা আজি বিধির লিখন এত ভাবি মনে মনে চলিল! শন, অন্তমন হয়ে হায় ক্রিদিব হয়ারে।

কেন কালে দুর হতে, নারীর রোদ্ধনে, প্তিষ্ঠ, তিষ্ঠ,” ধ্বনি আসি পশিল শ্রবণে। চাহিয়া চমকি পিছে, দেখিল! বিস্ময়ে, সাবিস্রী আসিছে দুরে পিছনে ছুটিয়া আশ্চর্য কীরিতি হেরি, চলে না চরণ) রহিলা াড়ায়ে যম জড়ের সমান।

ভয় প্রদর্শিয়া পরে, কহিলা সভয়ে

তবু” পক্ষ হও সতি ! হয়ো না চঞ্চলা! দেহী-অধিকার হেথা, কভু না সম্ভবে। যাও ক্ষিরে প্রাণ লয়ে, যদি চাও কু আপন নঙ্গল , আহা, নহে জানি আমি, দুতগণ আসি গোর বধিবে পরাণ

তব, কহিস্থ নিশ্চয়।. পালিও ধরম সতীর জীবন-ব্রত। নহে শব-বেহ,

১৫

কালি-পরাজয়

শ্থাল কুন্ধুরে ছিড়ি, করিবে ভক্ষণণূ* সঙ্কোচে চমকি যম আপন! আপনি, রহিল নীরব যেন শত অপরাধে “কি বলিলি রে শমন?* কহিল! সাবিস্্রীঃ সকোপে উচ্চারি যেন মর্ম্মাহতা হয়ে, "সতী আমি, যদি কভু করে থাকি নিত্য স্বামী-পুজা, স্বামী বিনা যদি কতু নাহি জানি আর, কার সাধা পরশিতে আজি পতি অঙ্গ মম, মোর আদেশ বিহনে? পতি অঙ্গ ছিঁড়ি মোর করিবে ভক্ষণ,

এঞ্ত$ কি শকতি ধরে ছুরস্ত শ্বাপদ ?

কে তোরে ঠেকায় দেখি মম হাত হতে! কথ! বলিতে কিরে, গেল নাকি তোর ফাটিয়ে হৃদয়? কেন তবু (জিহ্বা! তোর গেল না খসিয়ে? জানি আমি তোর মত মির নির্ঘ, আর নাহিক জগতে। মাতৃ-অন্ক হতে, কাড়ি লও তার তুমি নয়নের মণি সম প্রাণাধিক ধন।

অবল! যুবতী-দ্ূপে ছিংসায় ফাটিয়া, ছিনাইযা লও তার হৃদয় ছিডতিয়া, :

স্৬

কাবন্পরাজয়

এক মাত্র শ্বামী-ধন।' বিদেশিনী প্রায়, কক্ষ কেশে শুভ্র বেশে ফিরাও হুয়ারে, ভিখানিনী প্রায় তারে! দেখ রঙ্গযস, ভূবায়ে পঙ্কিল জলে সুবর্ণ-তরণী! স্বামীর পরাণ মোর দাও রে ফিয়ারে, কেমনে পরাণ ধরে তোমারে বিশ্বাস!” সঙ্কোচ হৃদয়ে বম, কিল! কাতরে,-- “ক্ষম সতি ! দেবী তুমি, ক্ষম অপরাধ, ক্ষময়ে জননী যথা সত্তানে তাহার; প্রলয় সভয়ে আমি কহিন্থ এতেক। যাও ফিরে যাও গৃহে রাখিয়ে মিনতি !* এত গুনি উত্তরিল! সন্গেছে সাবিত্রী, ভুলিয়া শমন দোষ, ন্মরিয়া আপনে, "একি কর্থা গুনি আজি তব সুধামুখে, ধর্রাজ! কে কোথায় কবে গুনিয়্াছে পতিহীনা! সতী সখী? হয়োনা নির্দয় এত অবলার প্রতি! ভব মাঝারে, পতি বিনা! নাহি জানি দুখ কিছু আর। বিচক্ষণ বুঝ মনে; ধর্মরাজ তুষ্গি। . পতি ছাড়া অবলার কি আছে অগ্তে!

কার-পরাজয়

পতি ধর্ম, পতি কর্ণ, পতি ব্রত সার, পতি গতি, পতি স্থিতি পতিই আধার রমণীর জ্ঞান যেন! সব কথাও কিহে ভুলেছ ধরম? তবে কেন হায়, দীনা, হীনা, পতিগ্রাণা হুঃখিনী কাস্তারে, সেই স্বামী ছাড়িবারে কহ বারেবার? করি হে মিনতি দেহ আদেশ আমারে, চলে যাই যথালয়ে মোর স্বামী-ধন করেন গমন। থাকি তার সহবাসে, দামী-কুল মাঝে আষি সেবিব যতনে, পদ ছ'খানি তীর। নিত্য অভিনব কুস্থষ চয়ন করি,কহিলে যেমন, দেখিবে তেমন তুস্গি, দেখিবে কেমন মনোমত মাল্য রচি সাজাব টরখ। ্‌ আহা! বুঝি আর কেহ নারিবে তেমন-_ নিত্য ফুল উপাদানে তোষিতে পরাণ। এটুকু মিনতি দেব, ঠেলধুনা হেলায়!» এত, স্তনি বাকহীন ক্ষণেক শমদ নিষেষ নয়নে চাহি, রহিল! দীড়াক়ে ? ছটলা জানিয়ে তার এতেক বা'সলা,_.

কাজ-পরাজয

নাগ্গিলা করিতে ক্ষণে নিজ মতি স্থির। ক্ষণ পরে যমরাজ কহে প্েহ-ভরে কি ভাবি ভুলাতে তায় মধুর বচনে+-- “শন সতি! অঘটন ঘটায়েছ তুষহি) দেখায়েছ নারী-কুলে সতীত্ব-প্রভাব হেরি তব দৃঢ় পণ, হয়েছি আপনি মন্্মুগ্ধ ফমী সম। করি আশীর্বাদ, 'আদর্শ রমণী হয়ে থাকিও ভবনে তবু বর লহ সতী যা চাহ আপনি; পতি ভিক্ষা দান শুধু কর না মিনতি। সন্ত হয়েছি আঙগি প্রতাসে তোঙ্গার, 'যেবা ইচ্ছা হয় বর করহ গ্রহণ ।”

হাচি দিতে চাহে বর শঙ্গন সুমতি, শুনি সভী' ভাবে ননে,--”কি করি প্রার্থন। ? পতিশ্ছায়! বিনা হেথা; সকভূমি মাঝে, বিন্দুবার্ধি বরধিয়া কি করিবে হায়! গ্বার্থে কান নাহি যোর, বুঝি নিশ্চয় তবে মাগি বর, বাহে স্বর শ্বাস, নব চক্ষুদান লতি, যাপিবে জীবন ( তবু তার ঙ্গানি লব জনম সফল 1”

২৯

কাল-পরাজয়

এত ভাবি মনে মনে কহিল প্রকাশে, “আখি হীন হের মোর শ্বশুর স্বাগুড়ী, বহু আল! সহে তার! নয়ন বিহনে। তাহাদের কর দেব পুনঃ চক্ষু দান।* *ভবতু,” বলিয়া বম প্রশারিলা পাণি। "ফিরে যাও এবে সতি তব নিজ গৃহে» বিল্ঘ কর না আর, সেব গিয়া ত্বরা ্‌ স্বাদের চরণ, বুঝাও তাদের ফ্রোহে প্রবোধ-বচনে ।” এত কহি, ধর্মরাজ ফিরিল! আবার ধেকে, স্বরগের পানে, বৈদ্যুতিক বেগে। কিন্ত সতী স্ুলোচনা রহিল হীড়াগ্সে তবু বিরস হ্ৃদয়ে। পদ কভু না চাহিল ফিরাধারে গতি কাল মেঘ মালা প্রায় প্রাবৃটু গগনে, স্থগ্রহে টীকিল যেন অর্ধ নিশাযোগে,_ যতেক ভাবনা আঁহা সে সুখ আননে বাহিরিল মাঝে তার তেজঃপুঞ্জ কছু, আশায় খেলিয় ) নীরবে হানিল বন্ধ বিরহ বেদনে ফাটি, শমনের পানে। কহে সতী- কত কীদি, অচল টলায়ে,--

476

কাল-পরাজয় "কোথায় ফিরিব আমি, কার কাছে যাব! কে আছে আপন জন, তোধিতে তেমন, মধুর বচন কহি,--কেবা মোরে আর! প্রাণ নাই দেহ টুকু ক'দিন জিয়ব! বসন্ত হারায়ে পিক রহে কত দিন! মধুচক্র বিনা বাঁচে কবে মধুকর! হার যবে ফিরে বাব কুঠির ছুয়ারে,_ অকালে অমেঘে বথা ছুপুরে আধার, কেমনে হেরিব আমি দশা তাহার ! ক্ষুধাতুর ক্ষুধাতুরা পিতা মাতা তার, পদ-শব্দ পেয়ে মোর আলিবে ছুটিয়ে, ধাড়াব সে দ্বারে যবে, কি কব তীদের,__ “এস বৎস» বলি যবে প্রশারিবে কোল! ভূষিত নয়নে যবে ব্যাকুল পরাণে, না হেরি কুমারে দ্রৌছে জিজ্ঞাসিবে মোরে, (মেহের পেষণে মোরে পিষিয়ে নৃতন-_ নব আখি পেয়ে তারা আমারি কারণ, ) “কত দূরে পুত্র মোর, কোথা রেখে এলি? একাকী কোথায় তারে আইলি ছাড়িয়ে, নিশিখ আধারে ?' আহা কাতরে কহিয়ে,

৩১

কাস

করিবে গঞ্জন! কত; হায় রে কি কয়ে, বুঝাব তাদের তবে, কি কব তাদের ! কি ভাষে বা! উচ্চারিব ছুঃরভাগ্য-কাছিনী, হায় কোন পোড়া মুখে! কেমনে অভানী সহিবে সে বিষ জাল! কোম্‌ করে আজি, হায়) কোন্‌ প্রাণ ধরি, বৃস্তচ্যুত ফুল ছু'টি--আধ ফোটা আখি, খণ্ড খণ্ড করি ভাসাব সলিলে!__ প্রাণ ভরা আশা টুটি, ভেসে যাবে হায় তারা ছুরাশ। মাঝারে পহায়, হায়!” করি যবে, ভগ্ন হৃদে তার! করিবে রোদন; গণ্ড বাহি আখি-নীর হইবে প্লাবিত,_হাঁয় কোন্‌ করে করি, সুছাইব তায়? যবে নারিয়ে বহিতে তারা শোকতার হৃদে, লুটিবে তৃতলে, আছাড়ি কাছাড়ি পড়ি,--রাখিব তাদের 'কেমনে সাত্বন/ করি? কে জাছে আমার, হায়, কেবা কবে মোরে যোগ্য প্রতিকার? ধন জল, আশা ভর্ষাঃ সকলি যে আজি শ্বিয্াছে চলিয়! স্বামী সাথে; কহ মোরে, “কে আছ কোথায় তবে আপনার জন! ৩২

কাল-পরাজয়

বড় ব্যথা প্রাণে! হায় নারী--কর-ভ্ষ1, ইন্্-বন্জ লম মোর লৌহের বলয়, প্রাণে প্রাণে বাধা আছে একেতে মিলিয়া, কেমনে টুটিব তায়! হায়, কোন প্রাণে! ছিঁড়ে যাবে হৃৎপিণ্ড বীধা ছেদনে। ললাটে নিন্দুর রেখ। শুভাক্কিত তার, সি'থে স্বতিটুকু হায় ঘুচাব কেমনে ! কেমনে মুছিব তায়, প্রাণ ধরিয়]! এত কভু সহিবে ন! হৃদয়ে আমার ! যাক প্রাণ, থাক প্রাণ, ফিরান শমনে ।*

এতেক চিন্তিয়। সতী হল অগ্রসর শমন পশ্চাত্তে। “তিষ্ঠ, তিষ্ঠ 1” রবে হায়, করুণ রোদন পুনঃ গুনিল শমন। ক্ষিরে দেখে সাবিত্রীর পুনরাগমন। অচল অটলা৷. বাম! কুহুক বচনে, ফ্রাড়াল আদিয়ে ধেয়ে সম্মুখে তাহার। হেরি ষম উচ্চারিল| সময়ে বিদ্বয়ে,-- “একি নারি! হেথা তুঙ্গি আস কি কারণ? পলাও, পলাও ত্বরা, নহে যাবে প্রাণ।” কহিল! সাবিত্রী তবু কাতর বচনে,স্

৩৩

কাজ-পরাজয়

প্যধ মোরে তাহে মোর নাহিক বিষাদ ধর্মরাজ তুমি দেব! ন! কর বর্জন কু অবল! আশ্রিতে। কলঙ্কিত হবে তায় তব মহানাম; আশ্রিতে জাশ্রয় ঘবান ধর্দের প্রধান। ধচ্দের বচন কর না ছেলন। স্বামী সাথে যাই আই, দেহ পদাশ্রয়,-যথা লয়ে যাও তীরে। নছে মোর স্বামী-ধনে দাও হে ফিরায়ে, ফিরে যাই তারে লয়ে আপদ আলয়ে। একাকিনী হেরি হায়, আমারে তাঁহার জনক জননী আসি, স্থধাবেন যবে”_ “কোথা রেখে এলি ওলো, মোর সত্যবানে ? কি কব তাদের? হায় আজি কি বলিয়ে বুঝাব তাদের? আহা যবে আছাড়িয়া পড়িবে পুরতে মোর শুনি বারতা, কেমনে ভোধিব আমি দম্পতী দোহারে-- নগ্ননের মণিহারা? হেন আখি দানে বঙ হবে কিবা ফল? পুত বিনা বদি, '* চিন্ন তরে রহে পুরি ঘেরিয়া আধার, নয়নের ক্গীণ দৃষ্টি কি করিতে পারে?

কাল-পরাছয় 'তবে বল কোন্‌ খানে প্রার্থনা পূরণ? শুধু প্রবঞ্চনা! ধর্মরাজ, কর তবে বাসনা পূরণ, দি যাচিয়ে দিয়েছ !” দোলুল মানসে তবে কহিলা শন, *“তোধিত হয়েছি সতি! রমণী-মগুলে তব গুরু-ভক্তি হেরি। লহ তাই বর, যা দিব আপনি আম পুরাতে বাসন!। হৃত রাজ্য পুনঃ তীরা পাবেন - ফিরায়েঃ নয়নের ভূত্তি হেতু ।” সন্তেহ বচনে কছিলা আবার ধীরে,--*্যাও সতী ফিরে, রাজ-কুল-বধূ তুমি, সেব গে যতনে। কর না বিলম্ব আর অনর্থ বিবাদে ; লগ্নবেল! প্রায় মোর হয়েছে অভ্তীত।” ,এত কহি, নিজ কাজে চলিলা শমন। এতক্ষণে কত দূর গিয়াছে শমন, কত নদ, নদী কত, গহ্বর, কন্দর, পর্বত শিখর কত ফেলিয়া পিছনে, চলিযাছে বম। তবু পিছনে তাকায় সবা, যত দৃগ্ যায়। আসিতেছে '্সতী”_ . ৰহ দুর গিয়া পুনঃ দেখিঠা সতয়ে ; ৩৫

কাল-পরাজয়

স্পন্দিত হৃদয়ে তবে উঠিল তরগ।

কল্পনা কটনী পাতি, গণিল তখনি গ্রমাদ ঘটন ;-_মানব-অগম্য পথে

কেন আঙে সতী!--গ্হায়। আজি কোন দেবী নারী-রূপ ধরি মোরে করে প্রবঞ্চনা ! তবে কেন বিধিলিপি করিবে খণ্ডন!” এত ভাবি, আপনারে তোষিল! শমন, আসন্প আপদে। ধীরে ধীরে অগ্রসরি সাবিত্রী নিকটে, যোড় কর করি যম, সম্ভাষি অমিয় ভাষে, কহিল! কারে, “করি গো ফিনভি দেবি! রাখ জো ধরদ) স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে যাঁও স্বগৃহে তোমার !* আশ্চর্য্য সতীর পণ) গুনি সব কথ শমনের নুধা-মুখে, করে অট্ট হাস

সতী,' পাগলিনী প্রায়; অশনি খেলিল, পতিহীন হীনগ্রভা চন্্রাননে ভার

মেখেন্র ভেদিয়া যেন? বারিধারে বাঁণি হল বরিষণ 7 কিঘা, দৃক্ত ছেরিয়ে, শঙ্িত শমন তথা রহিল! ফাড়ারে,

আখি সুদি,+অধোমুখে। ব্যঙ্গ করি ফেন, ৩৬

| কাল-পরাজগ় কহিতে লাগিল সতী--( ধরায়ে সর

কুঞ্চিত। ললাট-পটে, তীব্র তিরদ্কারে 5)

হয়ে নিজে ধর্শরাজ, ধর্মরক্ষা হেতু

করিছ মিনতি? আশ্রিতে ত্যজিতে চাহ

ধ্রক্ষা হেতু 1? তথ্বরের বৃতি হদে

দিয়েছে আশ্রয়, বুঝি ধর্মের কারণ?

ধর্মরাজ নাষে তব দিন্থ শত ধিক!

এত বদি হর তব ধর্মের পালন,

তাড়াইয়ে দিও মোরে পুনঃ লোক-মাঝে, বঞ্চিতা প্রাপারাষে অবলা! আশ্রিতে। কিন্তু দেব, জেন মনে, নাহি রব স্থির; কাদিয়ে ফিরিব তথা ছুষ্বারে ছয়ারে, ধর্দেরে নিন্দিয়া তোমা সম দেব-কুলে, কেছিব সবারে আমি অধর্শ-বারতা ; বালিক1, বনিতা, বৃদ্ধা যারে হথ। পাব, কছিব ফুকারি তব তন্কর-কাহিনী | কহিব সবারে, ধর্ম শুধু 'সাছে নামে, নাহিক করছে; আপনি ধরম-রাজ

করে না পালন। কহিব যুবতী-দলে . শ্রবণে ধরিয্না, সতী্বের হীন বল,

৩৭

কাজ-পরাজয় করেছে শমন, হরি সতী-শিরোমণি অধর্ম প্রবল, সদ! ফিরিব ঘোষিয়া ধর্ম হেতু ্ুষ্ঠান কিছু না রাখিব, জবদয়-সন্দিরে (বার বিবেক পুজায়। দলি তায় পদ-তলে, ফিরিব নির্ভয়ে যত ধর্মগ্রন্থ ছি'ড়ি করি কুটাকুটি ভাষাইয়ে দিব শেষ আবিল সলিলে। ধর্মনাম মুছে দিব ব্রহ্মাণ্ড হইতে | কিন্তু যদি সত্য চাহ ধর্মের উপায়," গুন তবে কহি আমি, ফিরাইয়ে . দাও ঘদি পতি-ধন মোরে, নাহিক সংশয়, স্বেচ্ছায় মরতে আমি করিব গমন; কিংবা লয়ে চল মোরে ম্বরগ আবাসে ; পতি পাশে বিরাজিব দাসী হয়ে তার। নতুবা, কহিন্ছ আমি,--বল সমপিয়া, অবল! আশ্রিতে তব হইবে ত্যজিতে-- তোমার ধরমে ! নিশ্চয় জানিও তাছে, ধর্রাজ নামে তব পড়িবে জঞ্জাল। ষ$ চাত করছ তাই, কহিনু বিশেষ ।” এত কথ গুনি যম সাবিত্রীর সুখে

৩৮৮

পড়িলা অকুলে যেন ছু*কুল হারায়ে। বিভ্রাট ঘটবে তায়, নাহিক সংশয় “কি করি উপার ?*--তাই ভাবে মনে মনে নিজ ভাব গৌপনিয় কহিলা সভীরে,_- ( সন্ধ্যা-মায়াজাল যেন শিশুর শিরসে,) “হেরিলাম সভি, তব আশ্চর্য্য প্রভাব! হুইন্থ আপনি আমি তাই মুগ্ধ প্রায়। পতি বিনা লহ বর যাহা ইচ্ছা হয়) তোমারে দিবারে মোর বড় সাধ হনে ।” আবার হাসিলা সতী করি অষ্টহাস !

“চাতকে দিবারে চাহ সুমি রসাল, ছুরস্ত নিদাঘ তাপে? সতী-জদ্ম লি, নারী হয়ে, অজ-নষ যুপকাষ্ঠ পাশে

রাশি রাশি ধিষপজ্জ করিবে তক্ষণ, জ্ঞানহীন হয়ে আজি মনের হরষে ?” কিন্তু মায়া-জাল বভ আসিয়া তখনি সাবিস্্ীর জ্ঞানটুকু ঘেরিয়া ঈাড়াল;

| জ্ঞানহীনা প্রায় সত্ভী নারিলা চিনিতে, আপনে আপনি হায়! কহিল কাতরে, তাই সে .কাল-সদনে, “বস্তচ্যক্ত হয়ে,

৩৯

পু্পকলি হায় কোন্‌ সলিল-সিঞ্চনে, উঠিবে ছুটি 1--( স্বামী বিন! সুখ মোর?) তবে যদি দয়। কর, দেহ মোরে বর, বাহার কারণ মোর জনক জননী,

রাজ্য রক্ষা হেতু তারা করেন দর্শন

পুত্র মুখ। তবু তান স্বার্থক জীবন।” পুর্ণ তব মনস্কাম বলিয়। শমন

হল অস্তর্যান, তথা! হতে নিজ কাজে, ফিরিবারে কহি ছায় সভভীরে আবার।

সংশয়-সাগরে মগ্ন বিপন্ন শঙন

চলে দ্রুতগতি কিন্তু হায়, সে চন্নণ

না মানে বারণ; সদাই থাকিতে চায় পিছনে পড়িয়া প্রতি পদক্ষেপে যেন বাধিছে জড়িয়া, যথা স্বপন এপ্রভাবে। এতদিন পরিচিত পথ যেন. আজি,

কুটিল বক্রতা ধরি, করে প্রবঞ্চন!। পিছনে আনন যেন ফিরিছে আপনি,- তথাপি খুরায় আধি সম্মুখ গ্রান্তরে।

চিন্তার বারিধি হতে।--”কি হবে না জানি।”-- হেন রীপ ধরি ফেনি উঠিছে তর়গ, .

৪০

কাল-পরা্গর

ছ'কুল ভাঙগিয়া যেন। এইরূপে যম,

জোর করি যেন তার টানিয়ে চরণ, চলিলা স্বরগ পথে; কি কুক্ষণে হায়, হেন বেশে দেখে বধ কৌতুহল ' বশে ফিনিক্স! পশ্চাতে, আদিতেছে ধেয়ে সতী উন্মতা করিনী। এলায্মিত কেশ-পাশ মলম মারুতে উড়ে, ঘনচয় সম

কভু মুখে "পড়ি কিবা, পুণিনা নিশিথে ভাসি, আবরিছে ঘেন পূর্ণ শশধরে আলু থালু হয়ে পড়ে অঙ্গ আভরণ ; কু সে অঞ্চল তার ত্যজি বক্ষ ভার, ধুলাক্স লুটায় পড়ি পড়িছে হুচাটি

সত্তী বসনে বীধিয়া | : হয়েছে শরীর

তাক্স হাস শত ক্ষত। শত মুখে যেন 'শোণিতের শ্রোত বহি যেতেছে ভাসিকে! পতিস্নাশাঘাত-পাশে বুঝি আঘাত তুচ্ছ হতে অতি তুচ্ছ, তাই নাহি গণে। পাগলিনী প্রায় সতী হাহাকার করি আগিছে ছুটিয়ে--শোকে অশাথি বিল্ফারিভ।।, হায় আজি কোন্‌ প্রাণে ভঙ্করের প্রা

৪১

ছুটিয়ে পলায় যম, দৃষ্ঠ হেরিঝে ।. থষকি থাঁমিল তাই ভুলিয়া করম।, নিরখি মাধুরী যম অতৃপ্ত নয়নে, . কছিলা মধুর ভাষে, সপ্তাষি সতীরে-- “শুন দেবি! কহি যাহা মানস পাতিয়ে, শমনের সাথে কি গে। বিবাদ সম্ভবে? দেবী হয়ে অঘটন কেন বা ঘটাবে? ত্যজিবারে নারি তোমা» আশ্রিতা বলিয়ে, নিমেষে উধাও নছে হতাম অচিনে ! আসিয়াছি হের এবে স্বরগ-ছুর়ারে অদূরে রহেছে হের নর নারী কত পুণ্যশীল, পুণ্যশীলা ; মনের হরিবৰে তারা বিরাজিছে কিবা; দাম্পত্য-মিলন হের হেথ! বা কোথায় ! * নর নারী হেথা সবে রহে সমভাবে, _দেবেন্্-চরণ সেবি বন-ফুল-হারে। হের কত্ত শত দাম্পত্য বন্ধন ছেদি বিরাজিছে একা পরাণের মণি তরে হেখ। নাহি কারো অধিকার করে চিন্তা হিয়ার মাঝার। প্রাণের. বাধন ছেঁড়া যাতন। কেমন, | ৪৭

“কেহ নাহি জানে হেথা, কি কব তোমায়? হেন পবিত্র ধাষে, দেস্ীর সেবায় শন্ধহীন পুষ্প-কলি হবে তর্ধ্য দান?

“গন্ধ ফুটন্ত ফুলে ধবে তথা নারে করিবারে দেব দেবী মানস রঞ্জন

তাই বলি যাও ফিরে যথা মন চায় ; পতির চরণ রাখি মানস-মন্দিরে,

কর গিয়া নিত্য সেবা। রহ গিয়া সতি, অপেক্ষিয়া এই রূপে যতদিন আমি. পরখন নাহি করি বিধির বিধানে!

দেবী তুমি, কাল আমি, কি কব তোমায় ; বিধি নামে দিও না গো রুলঙ্ক কালিষা। ভুলেছ কি দেবী হয়ে কালের নিক্মম?

ধশ্ম কর্মী সকলি কি দিবে বিসর্জন, স্বার্থের কারণ ? জান ন! কি তোমা নম কত শভ নারী, তার! হারায় পঙ্গকে

' কালের করে দির! পতি প্রাণধন? কিন্ত কেহ রোধে নাই গমন আমার ধৈরহ ধরিয়ে তার। যাঁপে মহাকাল।

ধৈর্য্য গুণ জেন মনে জগতে প্রধান।

৪৩

কাল-পরাজয়

মোর কাছে ধৈর্য গুণ প্রবল মরতে, নহে জানি রসাতলে যাইত অবনী।

তুমি তার বিপরীত কি হেতু ঘটাবে?" ধর্শরাজ হয়ে আমি করি গো মিনতি, দাও সতি! অনুমতি, যাই|ুনিজ কাজে।. বিচক্ষণ বুঝি মনে, রাখ মোর মান। সতী হতে হীন আমি, যানিনু আপনি।”

এত কথা! শুনি £সভী শমনের মুখে,

ভ্রম ত্যজি তাকাইল! সন্পুখে অনুরে, স্বর্ণ প্রাসাদ তথা পাইল। দেখিতে শৃন্ত ভেদি চূড়া তার রহেছে দরাড়ায়ে, হীরক .খচিত কিবা উজ্জ্বল পতাকা

এক রজত আকার, উড়িছে মলয়ে কিবা পত পণ কুরি, ঘোরা সবারে নির্দোষ ভাষার পুধ্য নাহি ঘন-জাল ;. নকল উজ্জ্বল তথা, ঝিক্‌ হিক্‌ করে সদা চক্র হূর্্যাতপে | দিবা নিশি যেন তথ| নাহি ভেদাভেদ ক্ফটিক্‌ নির্শিত শ্বরগ-ছুয়ার আহা রছেছে গ্লীড়ায়ে ? শোভিছে কেশনী শিনে তার; কোবমুক্ত

৪8৪

কাজ-পরাজন্ধ

-খড্পাণি দ্বারী ছুই পাদদেশে তার

নীরবে রহেছে খাড়া নত শিরে তার!

-কারে ছাড়ি দেয় পথ শ্বরগ গঙ্নে ;

কারেও বা বাধে; কারেও বা দূর হতে

ধেয়ে পশুরাঁজ ত্বরা করয়ে ভাড়না-_

দশন বিকাশি. শিরে, ভয় প্রদর্শিয়া।

কত নর নারী আসি কারে দিয়ে কোল

লয়ে যায় অভ্যন্তরে সাদরে সম্ভাধিঃ_

-ন্ৃত্য, বীত, নানা বান্তে অতি সমাদরে। সেথা কত দেব-বাল! উৎসবে ষাতিয়া,

আসে বায় খেলে কত, নিত্য নব বেশে;

-নর্ভক, নর্তকী কত গন্ধর্্, কিন্গর,

সত্য করে তারা! সবে অঞল, সঙ্গীতে।

নপুর নিন্কন আহা বীণার রণন

অধুময় প্রন্ববণে করে আলিঙ্গন।

আশ্চর্য্য মহিমা কিন্তু অতি অপরূপ,

কেহ নাহি শুনে কারো উৎসব সাধন ;

সকলেই ' মত তবু উৎসব কৌতুকে--

নিজ নিজ ভাবে। কেহ নাহি চাহে কারে?

কেহ ফু কারে তরে বাধা নাহি মানে।

৪৫

সেথা ইন্দ্র দেবরাজ কনক আসনে, সদানন্দে বিরাজেন বাষে শচী লয়ে। পদতলে সিংহ সিংহী শোভিছে সতত শচী-কঠে পারিজাতত যৌবন বাড়ায়ে, সতত বিকাশি শোভে মালার আকারে,-_- বিনা হুতে গাথা; মধ্যে তার মরি রি মন্দার কুন্ুষ-মণি হুলায় সমীর ধরিয়াছে নি মুক্তা দেবরাজ গলে কিবা শোভা মনোহর! শিরোপরে মরি মুকুট হুন্দর আহা হীরক খচিত,

_ শিখিপুচ্ছ তারোপরে সৌন্দধ্য বাড়ায়। ছই পাশে ছই সতী হেলিয়ে ছুলিয়ে চামর চুলায় কিবা কত গ্রহ তাব! রবি শশী সাথে করে নিত্ট ক্রীড়। কৃত. পদতলে তার; আপনি দামিনী তথ। সতত খেলিয়া রাজে শচী-পদতলে লুকাইয়ে লাজে কতু নিন্দিত গৌববে-_ বিনা “মেঘে

কিধা তখ। নন্দন কাননে, ' প্রতাহ :গজনী করি কুম্গুম চন, ৪৬

গাথে মালা ভাল! তরি; পুজা তরে কৃত রাখি দেয় সবতনে মনোমত করি ; 'কভু সে সুন্দরী মরি আপনার ভাধে সাজায় কবরী রাখি 'প্রথি আপন কুস্তলে। হাসিছে আপনি, কভু তন্থু রুচি সাজে ছড়ায়ে বিলায়ে যেন রূপের ভাগার কুদ্ছম সৌরভ মাথি মেহর ষাকুত উদ্দামী বহিয়ে যায় অনস্তে মিশিয়।। হেন বেশে বারমাস বিরাজে বসস্ত তথা নিত্য নব ভাবে। মকরন্দ পানে বীতরাগ অলি তথা গাহি গুন্‌ গুন্‌ ভাপিয়ে মলয় ভরে করিছে নর্ভন। আপনি পীযূষ মাথি হাসিছে প্রন্থুন। কেহ নাহি করে কারে! সম্পদ হরণ ভাগারের দ্বার সব সতত উদম্$ কেহ কারে! পানে চাছি ন1 মানে অভাব। নাহিক বারস, তথা নাহিক পেচক, - শোণিত লোলুপ কিংবা শৃগাল কুদ্ধুর ; পাপিক্কার শুধু গান; পিক কুন্ধু তান পঞ্চমে উঠিয়া নিলে দিগন্তে ধনিয়া!

সেথা হন্দাকিনী ভটে ব্রহ্ধ! বিষু বৃষি, তটিনীর কলম্বনে মিলাঁয়ে রন, সত্য নাম গাহি সদা! বাজাইছে বীণ|। একে একে ঢেউগুলি আসিয়ে কিনারে, লইল কুড়ায়ে যেন গণিয়। গণিয্া সেই সে স্থৃতাঁন, পাতি মন্দাকিনী-হৃদে ; মরতের পানে দীরে ছুটেছে তটিনী মে তান বহিয়ে। সেথা, ষে পারে ধরিতে, যে পারে চিনিতে তারে লঙ্প সে কুড়ায়ে, মানস সাজায় আহা সত্য জ্ঞান-হারে।

সেথা হিংভ্র জন্ত যত শ্বরগ গহনে, হিংসা বৃত্তি পরম্পরে করি পরিহার, করিছে বিহার অজ, ব্যান, মুগ, সিংহ কেলি করে ছুটে ছুটে একত্রে মিলিয়া, . বন উপবনে। মরি কিবা অনুপম মহিমা! তথায়, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, অধীরতাঃ ক্লান্তি পরিশ্রমে যেন নাহিক তথায়। মন্ত্র মৃদ্ধ হয়ে আহী সকলি বিরাজে। | সাবিত্রী তেমনি যুগ্ধা, নীরব নিচল। 'নারিলা ঘুগতে আখি, কুহকে মজিদ

৪৮

চারিদিকে ছেয়ে আল 811 1070) সে সারা তাজিয়া সতী ফিগব্গে সঙ্গন, পাইল দেখিতে হার ৰাম পাশে তাক, ছুটেছে শটিনী এক গভীগগ হষ্ষায়ে 9 গরল তয় ভার উঠিতেছে ধেক্সে পর্ত প্রাণ উঠে পড়ে ক্আছণড়িয়া, ক্ষুবে উপকূলে) খার লম নার ভাব! খ্যাদিয়া বদন কত শত জলচগ্স ভাসিছে জাগায়ে শির ; করপত্র সঙ্গ কহিরাছে পারে পাটে বিশাল দশন। হেরিবারে? কোন্‌ পারে ছু্টেচ্ছে তটিনী , নারিকীন়্া ঠবভিরিণশ, পাইল দেখিতে, আলে চাকা লর্তী আগ্রহ সক্পলে আবছা দুষ্ট নরকের | সহসা শিহুন্ি ঘাম! ভয়ে ব্যাকুলিক্চা যুদিলা অয়ন?

হয় প্পন্দন জত হনে আরস্িল ; আধারে দেরিয়া মমি আইল ঘলির!।

থর গ্বর কাপি গঙ্গ পড়িল! “বসিয়া

বহদূত ভাড়ন। ভীবগ।' বাক হেসে, শার্দুল কুকুর, হবারীরপে নিয়োজিত স্ভত চঞ্চল: যেন, কবির পোলুপ। রক্তাক্ত ক্কপাণ সঙ .লহু কাছ জিহ্বা! ফলে; ক্ষধিরের লালি 1 হতে বারি! পড়ে ভূমে টস্‌ টল্‌। অঙাবস্তানিশ! যেন ক্হেছে তেরিক্া সদ।। কিন্ত আধ আধ লক্ষিত দকলি, যত কদ্াচার তথা সাবিত্রীর আখি তথা তবু প্রবেশিল ধাকিয়! থাকিয়া এত হেরি ক্ষণে ক্ষণে প্রেতিনী র্ূপিনী 'আসি ভাষসী হাসিনী, বিকাশি দশন ধেন তরাস বাড়াক।; খক্ষ চিতি দেখাইলা বম 'শনির্ধ্যাতন 1.

অস্িকৃ কোথা হ'তে শিখা শিল্প তুলি,

কার ্াড়নে শত শিখে শত বাহ

নোধ-রক্জে রক্তবর্ণ হজ চারিদিক রখাক্ত বিগ্রহে ধরে বিকট বনপ।. : কণ্টক কানন দিযে, নিক্ষেপে ছ্ানঙ-_ গ্রাসে হিচাড়ি টানি ; হায় বুবি তারা, ছরা মার! কেমনি তা জানে না কখন।, ভাই বৃখা কাদে তার! পাষাণ গলায়ে বিষ্কা-কুণ্ড মাঝে কোথা উঠির! পড়িয়া হাবুডুবু খায় কত্ত গাতক পািকী ; কোথা নানা সরীন্প একজে মেবিয়া, কাহারে দংশিয়া মায়ে, থাকিয়া! থাকিয়া কাছারে শ্বাপদে ছিড়ি কররে তক্ষণ। ছরস্ত ধানব এক তার মাঝে থাকি, ছিটা লবণ কোথা কাঠ চেল স্‌ সুঠানে চিন্িয়া, করে সবে ভাগাভাগি লে গলে আসে ধেয়ে করিবারে,পাঁণ হিং জন্ক হত ষথে করিছে চিৎকার, [.. কুড10

ক্ষ ঝন্ছ করি, কত করিতেছে খেলা উল্লসর নাজ তথা কেহ নাছি স্কারে। ক্টক গহন গুধু ঝুপটি মারিরা। . সথাছে স্থানে স্থানে। সেখা পবন মকর ছ্ধ যাখিরা লরে ফিরিছে ভাকিয় ?- বাকি জনল-বাল, দহে দেহ কছু। হেরি ছেন ছয়কের চু ভয়, পাশরিল! সী হায় স্বরণ হুতগ। মহন সজক্বে ফিরি শ্নের গানে, চঞ্চজ, মানসে সতী কহিল! কাতরে, "্আবৃন্ধ না| বছিব হেথা, ক্ষম বোঝে দেব! চছে হাব. বধালয়ে বার নমকাখি) . তবে বদি দন! করি, ঘত রাজ্য দেছ ফিরা দেবের, ভয়ে রক্ষাহছেছু সায়

: উত্ধম কখোগে ত্বাঁৰ সংল $ধনা, পুলকে য়ে অন্ধ খমল তখনি, : উচ্চে উচ্চারিগা,_. “পর্ণ হোক সাথ ভব,-_ শতেক সুপুজ কারি গর়তে ধারণ ।*. বরদান করি কিন্তু শমন-হাদয়। কি ভবে সহ যেন হইল স্পন্দিভ। ধমকি খানিলা "ভাই, সন্ষোচি আপনি। “হেন বর গেছে তবু ুরেদতী নারী, ফিরিয়া ধরিলা! পথ, মরতে পানে. কিছু বঙ সেইয়প রহিল! দাড়ায়ে- পরম বশে কি করিজূ,* সদা তাবি মনে। আধারে ছাই হার মুখরধি ভার। "সার না ফিন্সিল পদ সত্যবানে লয়ে *সহ্ছোধি ফিরাতে ভায়ে চিল মানস; কিন্তু কণ্ঠে জানি ভাষা রহিল চাপিযা। ফিরাইযে ফিতে তার পরাপের দিছি) হেবক্ষালে কি তাখিযা হনে বিচলিত, বিদ্যা সন লী কেরিলা ভাষছাছে,।.. কহিবা চিৎকার কি, ধরশ ফোছাইি

কাল-পরাজয়

দিয়ে-“ধর্মরাজ, দেব তুমি! রক্ষা কর

হায় মোর যেই টুকু আছে আর বাকি

অধর্মে দিও না মতি, বর প্রদানে।

নছে ছার নরকেও নাহি পাব স্থান।

মোর তাগো হায় আরো কি হবেনাজানি

পুত্রের জননী হব কছিলে কেমনে?

একি হে রাজন বা কেমন ধরম?

পতি বিনা কভু কি গো সন্তান সম্ভবে?

সতীত্ব পরঙ্গ ব্রত রমণী-জীবনে।

তবে বল হেন বরকেন মোরে দিলে?

কেন বল অবলারে মজাতে বসিলে?

রাখ ধর্ম মোর, নহে জানিব নিশ্চয়

লভিয়াছ ভান করি ধর্শারাজ নাম।” কহিতে নারিলা কথা, এত শুনি যষ;

স্তভ সম হায় তথা রহিল! দীড়ায়ে।

দ্বণায় লজ্জায় আর অভিমানে তার

আরক্ত বরণ হল বদন-মওল।

স্বেদ-বিদ্দু দেখা! দিল প্রসম্ত ললাটে,-.

দিবা অবসানে যেন হিমান্রি সাজিল।

আবার €োয়াল শির; ক্কাপিল চরণ;

৫৪

কাল-পরাজয় দেহ ভার আর যেন বহিবারে নারে, (অভিমানে যেন দেহ হল গুরুভার)। নিরখি বয়ানে তাঁর, নিমেষ নয়নে, নব ভাব নীলিমার দে মহা লগনে প্রকাশে শিহরি বম আপনে ভুলিল!। আধ হাসি, আধ কারা, আধারে আলোক; আধ শশী উদ্ভাসিত, আধ জলধর ; আধ ভাগে নাচে খেলে জ্যোতিষ্ষ-মগুল, আধ ভাগে পুনঃ যেন দামিনী ছুর্টিল। আধ দিবা, আধ রাতিঃ ভীষণ, গর এমনি অদ্ভুত বুঝি সতীত্ব সুন্দর, বুঝিল শমন। তাই ধীরে ধীর: ভাষে সম্ভাসি সতীরে, কহিলা মধুর ম্বরে,_ প্ধন্ত সতি! করিয়েছে সতীত্ব পালন। তাই আজি মোর সাথে দন্দ তব হেথা হুইল সম্ভব তাই অঘটন যাহা ঘটাইয়ে তায়, মোরে করিলে আসিয়ে পরাজিত তব কাছে; অসাধ্য সাধিলে। "আজি হতে তব কাছে লভিন্ব জ্ঞান, দেব হতে সাধকের প্রত্যপ প্রবল।

৫৫

কাজস্পরাজয়

আজ হতে ঘরে ঘরে কহিও পবারে.

তুচ্ছ হতে অতি তুচ্ছ বিধিয় বিধান,

সাধক ইচ্ছায়। দৈবেয়ে লভ্ষিতে গারে

সাধক সুমতি। করি সাধকের পৃজ!

দেবের কারণ নরে হউক সফল?

প্রাণ খুলে করি পূজা তোমার চরণ

কর শোভা লৌহ খণ্ড, হোক বজ্জ সম

বামা-দলে মর্ভলোকে ; ললাটে সিন্দুর

রেখা হোক সমুজ্জল। নিতে তব নাম

যেন যুগে যুগে নারী ভুলে না কখন;

আদর্শ রমণী তুমি তাদের সভায়।

অমর তোমাক নাম রহিবে মরতে,

যেন প্রাণ লয়ে। সতি! কি আর কহিব;

লও তুমি ফিরে পুণঃ তব 'ম্বামী-ধন।” এত বলি লয়ে করে পাশ দণ্ড হতে,

সত্যবান আমুটুকু সাবিত্রীর করে

দিল সে ফিরায়ে। আনন্দে অধীরা,

ক।দিল! পুলকে সত্বী নয়নের কোণে।

চাপিল! ষতনে বুকে পতি প্রাণ তার।

শমনেরে কুঁতজ্ঞত। নারিলা জানাতে

৫৬

কাল-পর্াজ য়

সতী কথা কছে মুখে; সজল নয়ন শুধু দিল পরিচয়, পলক ভূলিয়! ! এদিকে আসিল ঘেরি রাঙ্গা ষেঘে সম

আলোকিয়৷ চারিদিক! পুষ্প বৃষ্টি সম হল বরিষণ আহা স্বরগ হইতে। দেবগণ নিজ করে সে সাধ সাধিল। সাবিত্রীর জয় ধ্বনি, হইল ধ্বনিত সম্তত সবার মুখে আহা মরি কিবা স্থগন্ধ চন্দন বৃষ্টি হল একাধারে। পারিভাত গন্ধ মাথি ভ্রমিল পবন। কাল-পরাজয় শুনি সতীদল মাঝে

হল কত গৌরব বাখান; কিন্ত যেন অগ্নি কুণ্ডে ঘ্ৃতাহুতি সম হু করি জলিল শঙ্ম আহা সরমে মরমে ' অধঃ মুখে নত শিরে রহিল দীড়ায়ে, রক্তবর্ণ মুখরবি ত্বণায় লজ্জায়

অজেয় শমনে আজি করি পরাজিত, প্রাণ মন ভরি কবি দিল করতালি অধীরা হইগ্পনে সতী ফিরিলা মরতে, হরযিতা মতী; পতিপ্রাণ বুকে রাখি

৫৭

কাল-পয়াজয় অতি সধতনে উঠি পড়ি ঘায় সতী। এই রূপে পরাজিত হয়ে সতী কাছে, কু মনে নিজ কর্্দ গ্রদ্দানি অপরে ফিরিল! আপন গৃহে সে নিশে শমন

সম্যাগু